বাংলাদেশে জমজমাট দুর্গোৎসব উদযাপন
বিজয়া দশমীতে মর্ত্য ত্যাগ করে ফের কৈলাসে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। ব্যাপক উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সোমবার বিকেলে ঢাকার ওয়াইজঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভক্তরা প্রতিমা বিসর্জন দেন। এবারে করোনার কারণে বিজয়া শোভাযাত্রা হয়নি। স্বল্প সংখ্যক ভক্ত মায়ের বিসর্জনে অংশ নেন। ওয়াইজঘাট ছাড়াও রাজধানীর তুরাগ ও বালু নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এর আগে মহানবী তিথিতে ঢাকার ঐতিহাসিক রমনা কালিমন্দিও ও মা আনন্দময়ী আশ্রমে সস্ত্রীক পুজা দেন ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। নানা উৎসব, বাদ্য আর আরতির মাধ্যমে বিসর্জন দেওয়া হয়। হিন্দু সধবা নারীরা দেবীর প্রতিমায় সিঁদুর পরিয়ে চোখের জলে মাকে এক বছরের জন্য বিদায় জানান। দুনিয়াজোড়া করোনা মাহামারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সনাতনধর্মাবলিদেও সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজা। মহাসপ্তমিতিথিতে বাংলাদেশের প্রায় ৩১ হাজার পুজা মন্ডপে জগতবাসী করোনামহামারি থেকে মুক্তি দিতে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এর আগে মহানবীতিথিতেই মন্ডপে মন্ডপে বিদায়ের বেজে ওঠে।
ঢাকার সবচেয়ে বড় আয়োজন এবারে ঢাকার সবচেয়ে বড় আয়োজন করা হয় রমনা কালিমন্দিও ও মা আনন্দময়ী আশ্রমে। এখানে বিশাল এলাকা জুড়ে প্যান্ডেল। তাতে দুই হাজার চেয়ার। লাইন ধরে মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার নিয়ে মন্ডপে প্রবেশ করেছেন হাজারো ভক্ত। পুজা কমিটির আহ্বায়ক সুজন মন্ডল জানান, মন্ডপের পাশের বিশাল পুকুরের মধ্যিখানে ৪০ ফুট উচ্চুার নারায়ণমূর্তি ঘিরে ভক্তদেও উদসাহের কমতি ছিলো না। তাছাড়া এখানে বিশাল খোলামেলা জায়গা রয়েছে। পাশেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ভক্তরা ওষানেও এক কিছুটা সময় কাটিয়ে ফের মন্ডিপে ফিরে আসেন। বলতে পারেন সব মিলিয়ে জমজমাট পুজার আয়োজন রমনা কালিমন্দিরে। সুজন বাবু আরও জানান, এবারের তারা ভক্তদেও মাঝে বিতরণের জন্য এক লাখ মাস্ক এবং হ্যান্ডস্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেছেন। মন্ডপে সুপরিসর প্যান্ডেল করেছেন। এখানে ভক্তরা আসছেন এবং স্বাচ্ছন্দ নিয়ে মাকে দর্শনের পাশাপাশি ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন। রমনা কালিমন্দিরই এক মাত্র মন্দির যেটি রাত ৯টা নাগাদ উন্মুক্ত ছিলো। ফলে এখানে ভক্তের ঢল নামে।
আমিনুল হক ঢাকা NE INDIA NEWS